A) বিভাগের নাম – গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাতিষ্ঠানিক সশক্তিকরন কর্মসূচি
B) কর্মসূচির সংক্ষিপ্ত বিবরণ – ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভারত সরকারের সহযোগিতা এবং বিশ্ব ব্যাংক এর আর্থিক সহায়তায় এই কর্মসূচির পরিকল্পনা করে এবং কর্মসূচিটি শুরু করে। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল রাজ্যের ৩৩৪২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অগ্রগতির মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে তহবিল (PBG) প্রদান। ১00 শতাংশ রাজ্য অর্থ কমিশনের তহবিল, ১0 শতাংশ কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের অগ্রগতির মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে তহবিল এবং বাকিটা বিশ্ব ব্যাংকের থেকে প্রাপ্ত তহবিল নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোকে এই পি. বি. জি. নামক তহবিল বণ্টন করা হয়। এই কর্মসূচির আওতায় গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোকে এমনভাবে নিবেদিত হয়ে সহায়তা দেওয়া হয় যাতে তারা গ্রামীণ বিকেন্দ্রীকরণ প্রক্রিয়ায় সফলভাবে পরিষেবা প্রদান করতে পারে। রাজ্য ব্যাপী গ্রাম পঞ্চায়েতের সশক্তিকরন এর ক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েত ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (GPMS), ওয়েব বেসড মনিটরিং সিস্টেম (WBMS), জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (GIS), বর্ধিত ভিডিও কনফারেন্স ব্যবস্থাপনা, গ্রিভেন্স রিড্রেসাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (GRMS) ইত্যাদি বিষয়গুলোতে আই. এস. জি. পি. পি. – 2 কর্মসূচি সহায়তা প্রদান করে। এই কর্মসূচির ফলে গ্রাম পঞ্চায়েতের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ব্যবস্থাপনা ব্যাপকতা লাভ করেছে। এর সাথে সাথে গ্রাম পঞ্চায়েতের বহিনিরীক্ষা ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত এক্সামিনার অফ লোকাল অ্যাকাউন্টস (ELA) সংস্থাকেও এই কর্মসূচি থেকে সহায়তা করা হয় যাতে গ্রাম পঞ্চায়েতে সঠিক সময়ের মধ্যে এই কাজটি শেষ হতে পারে।
কর্মসূচির উদ্দেশ্য ও ফলাফল – প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অবজেকটিভ (PDO) অনুযায়ী এই কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্যই হল রাজ্য জুড়ে সকল গ্রাম পঞ্চায়েত এর প্রাতিষ্ঠানিক ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা। পি. ডি. ও. অনুযায়ী এই কর্মসূচির সাফল্য পরিমাপ করা হবে মূলতঃ নিম্নলিখিত অগ্রগতির সূচকে –
– সারা বছরে কতগুলি গ্রাম পঞ্চায়েত ন্যুনতম বাধ্যতামূলক শর্তাবলী (BMC) এবং বর্ধিত বাধ্যতামূলক শর্তাবলী (EMC) পূরণ করতে পেরেছে।
– বছরে গড়ে কত শতাংশ টাকা গ্রাম পঞ্চায়েত পি. বি. জি. তহবিল থেকে খরচ করতে পেরেছে।
এই কর্মসূচি থেকে নিম্নলিখিত ফলাফল গুলি আশা করা হচ্ছে –
১) সারা রাজ্যে অগ্রগতির মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে একটি অভিন্ন তহবিল প্রদান ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা।
2) গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা।
৩) স্থানীয় সুশাসন ও মানব সম্পদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি।
৪) স্থানীয় স্তরে বিকেন্দ্রীকৃত সহভাগী পরিকল্পনা ও বাজেট পদ্ধতির উন্নয়ন।
কর্মসূচির প্রধান প্রধান কাজ –
৫) গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোকে অগ্রগতির মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে তহবিল প্রদান।
৬) কর্মসূচি ব্যবস্থাপনা, সমন্বয় এবং তদারকি।
৭) গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য নিবিড় মেনটরিং সহায়তা প্রদান।
৮) গ্রাম পঞ্চায়েতের বিধিবদ্ধ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
৯) স্থানীয় সুশাসনের লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন।
১০) গ্রাম পঞ্চায়েতের বহিনিরীক্ষা প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন করা।
১১) প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের বার্ষিক অগ্রগতির মূল্যায়ন প্রক্রিয়া (APA) সম্পন্ন করা।